সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ ছাত্রের বিক্ষোভ এবং সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড ২০২৫ সালে হজে নিবন্ধন শেষ হয়েছে ৪৩,৩৭৪ জনের প্রতিটি চার নারীর মধ্যে তিনজনই সহিংসতার শিকার: স্বাস্থ্য ও সামাজিক জরিপ ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম সাময়িক বরখাস্ত শীতের আগমনী বার্তা: আবহাওয়া অফিসের শৈত্যপ্রবাহের আগাম সতর্কতা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মির্জা ফখরুল বলছেন, এ দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে না সচেতনতা ও টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: নূরজাহান বেগম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: আমার ছেলে-মেয়েরা দেশে, আমি কি ভাবে নিরাপদ থাকব? প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন
ডেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: মেরুদণ্ডহীন মানবাধিকার কমিশন চাই না

ডেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: মেরুদণ্ডহীন মানবাধিকার কমিশন চাই না

বিগত সময়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নখদন্তহীন এবং দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা এমন মানবাধিকার কমিশন চাই না যা কার্যকরভাবে মানবাধিকার রক্ষা করতে সক্ষম নয় এবং যার কোনো মেরুদণ্ড নেই।

আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে অনুষ্ঠিত খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ২০০৯ সালে ড. ফখরুউদ্দিনের সরকারের সময় মানবাধিকার কমিশনের আইনের খসড়া তৈরি হয়েছিল। এরপর নতুন সরকার সেই আইনের ভিত্তিতে কমিশন গঠন করে, এবং বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর কমিশন বাতিল হয়ে যায়, যার ফলে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বর্তমানে কার্যত অচল। অন্যদিকে, এই সময়ে সরকার আরও নানা কমিশন গঠন করেছে।

তিনি বলেন, যদিও এই সময় মানবাধিকার বিষয়ক আইন প্রণয়নের চেষ্টা চালানো হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। বরং, এখনকার খসড়া আইনে নতুনত্বের অভাব রয়েছে, যা বাস্তবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। তিনি স্পষ্ট করেন, আমাদের প্রথম চাওয়া হলো, ক্ষমতা সম্পন্ন এবং দক্ষ মানবাধিকারের রক্ষাকারী একটি সক্ষম কমিশন তৈরি করা।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, কমিশনের প্রধানকে একজন মেরুদণ্ডবক্ত ব্যক্তির ছেলে বা মেয়ে হিসেবে নয়, বরং একজন সাহসী, নীতিবান এবং সরকারের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম ব্যক্তির নিয়োগ দেয়া উচিত। তিনি বলেন, একজন মেরুদণ্ডহীন ব্যক্তি কখনো মানবাধিকার রক্ষা করতে পারবেন না, তাই আন্তরিকতা ও সাহস সম্পন্ন ব্যক্তির প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, বিগত সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার কর্মকা- যথাযথভাবে কাজ করেনি। তিনি বলেন, নতুন খসড়া আইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। দ্বৈত নাগরিকদের নিয়োগে কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, এর কারণ জানি না, তবে এটি প্যারিস চুক্তির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ।

‘বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) দায়িত্ব, গঠন, স্বাধীনতা ও কার্যক্ষমতা বিশ্লেষণ করা। পাশাপাশি, খসড়া আইনকে আরও কার্যকর করার জন্য পরামর্শ দেয়া, যেন কমিশনের অনুসন্ধানী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ভুক্তভোগী ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয় এবং সমন্বিত প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd